Mar 1, 2008

কৃতজ্ঞতা

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আমার গত কয়েক বছরের তথ্যানুসন্ধানে অসংখ্য দেশপ্রেমিক ব্যক্তি অনুপ্রেরণা এবং তথ্য দিয়ে আমাকে সহায়তা করেছেন। একাত্তরের ঘাতক ও দালালদের তালিকা প্রণয়নের কাজে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া তাঁদের অনুপ্রেরণাই আমাকে সাহস যুগিয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দানকারী অসংখ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে যাদের নাম উল্লেখ না করলে নিজেকে অপরাধী বোধ করব তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববেদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের মুহম্মদ নাসিরউদ্দিন ডঃ সরদার মাহফুজুর রহমান, সালাউদ্দিন আহমেদ খান, ভাষা সৈনিক এডভোকেট গাজিউল হক, রাজনীতিবিদ আলেম মওলানা ওবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী এবং প্রবাসী কবি দাউদ হায়দার।
বিশিষ্ট বামপন্থী লেখক কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় আমার প্রত্যেকটি প্রচেষ্টার একাধারে অগ্রজ এবং পরামর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁর প্রতি আমি কথামালায় কৃতজ্ঞতা জানাতে চাইনা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আমার লেখালেখিতে বয়োজ্যেষ্ঠ, প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের চেয়ে আমি সর্বদাই অধিকতর অনুপ্রেরণাও উৎসাহ পেয়েছি আমার তরুণ শুভার্থীদের কাছ থেকে। এই তরুণেরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে প্রশংসনীয় রকম আগ্রহশীল। বর্তমান গ্রন্থটি সম্পাদনার ক্ষেত্রে আমি আমার বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান হেলালের কাছ থেকে পেরেছি নিঃস্বার্থ সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা। একইভাবে আমার বন্ধু হাসনাত ফাতিমা যে সহযোগিতা প্রদান করেছেন, সে জন্যে তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। গ্রন্থটি সম্পাদনার কাজে আমার তরুণ শুভার্থীদ্বয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহবুবুর রহমান টিটো এবং তৌহীদ সিরাজ যে নিঃস্বার্থ পরিশ্রম করেছেন তাতে তাদেরকেএই গ্রন্থের যৌথ সম্পাদক বললেও অত্যুক্তি হবে না। একইভাবে শামসুল হক চন্দনও তাঁর সহযোগিতা দিয়ে আমাকে বাধিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে এই তরুণ কর্মীদের আগ্রহে আমার স্থির প্রতীতি জন্মেছে যে, তারা এ বিষয়ে মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করে সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

বর্তমান গ্রন্থের প্রস্তাবনাটি রচনায় ১৯৭২ সালের দৈনিক বাংলায় প্রকশিত শীলব্রত চৌধুরীর একটি নিবন্ধের সহায়তা নেয়া হয়েছে। তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের উদ্যোগে গ্র্রন্থটি প্রকাশিত হচ্ছে বলে তাঁদের প্রতি নতুন করে কৃতজ্ঞতা জানানোর কোন অবকাশ নেই। তবু, পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অবঃ) শওকত আলী বইটি প্রকশে যে আগ্রহ দেখিয়েছেন, সে কারণে তাঁর নামটি বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেই নয়। পরিষদের জাতীয় কমিটির সদস্য সাংবাদিক মহসিন খায়রুল আনাম একাজে নিজেকে সবচেয়ে আত্মনিবেদিত কর্মী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। একইভাবে পরিষদের জাতীয় কমিটির সম্পাদক খন্দকার হেদায়েতুল ইসলাম কাজলও নিঃস্বার্থ পরিশ্রম করেছেন। সংহতি পরিষদের অন্যান্য যে সব সদস্য নিঃস্বার্থ পরিশ্রম করেছেন, তাতে সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের প্রতি তঁদের প্রশ্নাতীত আন্তরিকতারই প্রতিফলন ঘটেছে।

No comments:

Post a Comment